অবশ্যই প্রথম বছর আয়কর রিটার্ন পূরণের সময় একটু বেশি সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে, কেননা এক্ষেত্রে অধিকাংশ করদাতা অত্যান্ত প্রয়োজনীয় তথ্য প্রদানে ভুল করে থাকে এবং আয়কর মামলার সম্মূখীন হন !
আসুন আজ আমরা জানবো প্রথম বছর আয়কর রিটার্ন পূরণ করতে প্রথমে আমরা কোন কোন বিষয়গুলির উপর গুরুত্ব দেব।
স্থায়ী সম্পদঃ করদাতার নামে যদি কোন জমি, বাড়ি, গাড়ি ইত্যাদি কোন প্রকার স্থায়ী সম্পদ থাকে তাহলে, আয়কর রিটার্ন জমা প্রদানের সময় উক্ত সম্পদ এর হিসাব আয়কর নথিতে অবশ্যই অবশ্যই উল্লেখ করতে হবে, অন্যথায় ভবিষ্যতে উক্ত সম্পদ হতে যে কোন প্রকার অর্জিত অর্থ এবং উক্ত সম্পদ ব্যবহারে আয়কর মামলার সম্মূখীন হবার সম্ভাবনা অনেক বেশি ! অতএব আইনগত ঝামেলা এড়াতে প্রথম বছর আয়কর নথি দাখিলের সময় স্থায়ী সম্পদ সঠিক ভাবে উপস্থাপন করুন এবং আইনগত ঝামেলা এড়িয়ে চলুন।
চলতি সম্পদঃ করদাতার নামে যদি কোন ব্যাংক হিসাব থাকে এবং উক্ত ব্যাংক হিসাবে লেনদেন বা নগদ ব্যালান্স বা অর্থের উৎস সঠিক ভাবে উপস্থাপন করুন এবং আইনগত ঝামেলা এড়িয়ে চলুন।
সঞ্চয়পত্র বা স্থায়ী আমানত : করদাতার নিজনামে যদি কোন সঞ্চয় পত্র বা ফিক্সড ডিপোজিট থাকে, তাহলে আয়কর নথিতে অবশ্যই অবশ্যই উল্লেখ করতে হবে, অন্যথায় ভবিষ্যতে উক্ত সঞ্চয়পত্র বা স্থায়ী আমানত এর জন্য আয়কর মামলার সম্মূখীন হবার সম্ভাবনা অনেক বেশি।
উপরে উল্লিখিত বিষয় গুলি প্রথম বছর আয়কর রিটার্ন জমা প্রদানের সময় সঠিক ভাবে উপস্থাপন করুন এবং আয়কর রিটার্ন দাখিল করুন, আয়কর রিটার্ন জমা প্রদানের সময় নিমক্ত কাগজপত্র প্রয়োজন হয়:
১. বেতন বিবরণী
২. ব্যাংক হিসাব বিবরণী (১লা জুলাই থেকে ৩০ জুন)
৩. বাড়ীভাড়া আয়ের চুক্তি পত্রের কপি এবং মাসিক ভাড়া রশিদ (যদি থাকে),
৪. অন্যকোন আয়ের উৎস (যদি থাকে)
৫. টিআইএন (TIN) সার্টিফিকেট
৬. জাতীয় পরিচয়পত্র
৭. বিনিয়োগ: সেভিংস সার্টিফিকেট, ভবিষ্য তহবিল, এবং জীবন বীমা পলিসির মতো ট্যাক্স ছাড় প্রদান করে এমন বিনিয়োগ সম্পর্কিত নথি (যদি থাকে),
৮. জমি ক্রয় দলিল (যদি থাকে)
৯. গাড়ী AIT (যদি থাকে)
১০. বাড়িভাড়া আয়ের উপর উৎসে কর্তনকৃত সকল চালান এর কপি (যদি থাকে)
১১. উক্ত বাড়ির উপর যদি কোন ব্যাংক ঋণ থাকে, উক্ত ঋণ এর অনুমোদন পত্র এবং ব্যাংক ঋণ এর ৩০ জুন পর্যন্ত বকেয়া ব্যালান্স (যদি থাকে)